ইসরায়েলি দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণার আহ্বান আন্তর্জাতিক আদালতে
ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক ও আরব রাষ্ট্রগুলো।
সোমবার আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে এই আহ্বান জানানো হয়।
একইসঙ্গে এই দখলদারিত্বকে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রধান বাধা বলেও আখ্যায়িত করেছে তুরস্ক।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি দখলদারিত্বের আইনি বৈধতা সম্পর্কে ২০২২ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অনুরোধের পরে ৫০ টিরও বেশি দেশের যুক্তি-তর্ক শুনেছে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)।
সোমবার ছিল হেগের এ আদালতে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের কয়েক দশকের দখলদারিত্ব নিয়ে শুনানির ষষ্ঠ ও শেষ দিন।
শুনানির শেষ দিনে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেত ইলদিজ বিচারকদের বলেন, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব এই অঞ্চলে সংঘাতের মূল কারণ। এছাড়া গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা এবং এর জেরে প্রায় পাঁচ মাস ধরে নির্বিচারে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও ২৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণহানি নিয়ে বক্তব্য রাখেন ইলদিজ।
তিনি বলেন, ৭ অক্টোবরের পর উদ্ভূত পরিস্থিতি আবারও প্রমাণ করে, ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের মূল সমস্যাকে সমাধান না করে, এই অঞ্চলে শান্তি বিরাজ করতে পারে না।
একইসঙ্গে এটিকে অবৈধ ঘোষণা করার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারকদের প্রতি আহ্বানও জানান তুরস্কের এই উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইসরায়েল অবশ্য এই শুনানিতে অংশ নেয়নি। দেশটির দাবি, আদালতের সম্পৃক্ততা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি অর্জনের চেষ্টার জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
আরব লীগের সেক্রেটারি জেনারেল আহমেদ আবুল গীত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের এই দখলদারিত্বকে ‘আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের অবমাননা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শুনানির সময় আন্তর্জাতিক আদালতে বক্তব্য রাখা বেশিরভাগ দেশই বিচারকদের কাছে ইসরায়েলের এই দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করতে আহ্বান জানায়। তবে সোমবার ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র ফিজিসহ মুষ্টিমেয় কয়েকটি দেশ যুক্তি দিয়ে বলেছে, আইসিজের উচিত কোনও পরামর্শমূলক মতামত না দেওয়া।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে আদালতকে দখলদারিত্বের বিষয়ে কোনও পরামর্শমূলক মতামত সীমিত রাখার এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলি বাহিনীকে নিঃশর্ত প্রত্যাহারের আদেশ না দেওয়ার আহ্বান জানায়।