একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ দেখার ইচ্ছা ছিল তাঁদের

Ahmed Ihtisham
0


একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ দেখার ইচ্ছা ছিল তাঁদের

ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন এই তিনজন। আজ বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে
ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন এই তিনজন। আজ বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে
ছবি: মোশতাক আহমেদ

ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হাজারো মানুষের ভিড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে ভরে গেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদি। অসংখ্য মানুষের ভিড়ে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একটি ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনজন।

ব্যানারে লেখা, ‘বাংলায় গান গাই, বাংলার গান গাই’। ব্যানারে আছে বাংলা বর্ণমালা। আছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি। ব্যানারের নিচে লেখা—‘পুষ্পল, শাশ্বতী ও কলাপী। শান্তিপুর, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত’।

ব্যানারের লেখাই বুঝিয়ে দিচ্ছে, এই তিনজন এসেছেন ভারত থেকে। কথা হয় তিনজনের একজন শাশ্বতী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তিনি বাংলার শিক্ষক। বললেন, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে নদীয়ার শান্তিপুর থেকে এসেছেন তিনি। বাংলা ভাষার প্রতি টান থেকেই তাঁর এখানে আসা। বহুদিনের ইচ্ছা ছিল অমর একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ দেখার। এই প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। এসে খুবই ভালো লাগছে তাঁর।

বাংলার এই শিক্ষক বললেন, তিনি যখন ছাত্রছাত্রীদের পড়ান, তখন বাংলা ভাষার প্রতি দরদটি বুঝতে পারেন।

শাশ্বতী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের ভাষাও এক। অমর একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষেই ঢাকায় আসা। ঢাকা ঘুরে দেখলাম, এখানকার মানুষের আতিথেয়তায় আপ্লুত হলাম। বইমেলা দেখেছি। ঘুরে ভালো লাগল।’

আজ একুশে ফেব্রুয়ারি, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিবসটিতে হাজারো মানুষ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।

একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে ভাষাশহীদদের প্রতি জাতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর মন্ত্রিসভার সদস্যসহ বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা শ্রদ্ধা জানান। তার পর থেকে সাধারণ মানুষ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শুরু করেন।

এবার মহান শহীদ দিবসের ৭২তম বছর পূর্ণ হচ্ছে। মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করা বাংলা মায়ের সাহসী সন্তানদের অনন্য আত্মত্যাগের এই দিনকে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো ১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয়। তার পর থেকে সারা বিশ্বেই নিজ নিজ মাতৃভাষা নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির ভেতর দিয়ে দিনটি পালিত হচ্ছে।

Post a Comment

0 Comments
Post a Comment (0)
To Top